ভিডিও এডিটিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভিডিও ক্লিপগুলির সম্পাদনা করা হয় যাতে একটি পরিষ্কৃত, সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করা যায়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদকের দ্বারা কাজ করা হয় এবং এটি অন্যান্য ভিডিও পোস্ট-প্রোডাকশন প্রক্রিয়াগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। ভিডিও এডিটিং মূলত নিম্নলিখিত কিছু কাজের সাথে সম্পর্কিত:
ক্লিপ মনোনিবেশন: প্রথমত, ভিডিও এডিটর ভিডিওর বিভিন্ন ক্লিপগুলির সাথে কাজ করে যেগুলি আপনার সম্পাদনা প্রক্রিয়ার জন্য উপযুক্ত সেগুলি নির্বাচন করে।
সম্পাদনা করা: এই পর্যাপ্ত ক্লিপগুলির সাথে সম্পাদনা করা হয়, যাতে ভিডিওর মূল কাহিনী নির্দিষ্ট হয়। এটি ক্লিপগুলির কাট, বদল, স্লো-মোশন, দ্রুত-মোশন, ফেড ইন/আউট, কালার করেকশন, ছায়াচিত্র সম্পাদনা, সাউন্ড সম্পাদনা, সাবটাইটেল যোগ করা, ইফেক্ট যোগ করা ইত্যাদি কাজের সাথে সংযোজন করে।
সংগঠন এবং স্ক্রিপ্টিং: এডিটরগুলি স্বাধীনভাবে ক্লিপগুলি সংগঠন করতে সাহায্য করে এবং আপনার নির্মিত ভিডিওর কাহিনীর স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করে।
সাউন্ড ডিজাইন: ভিডিওর সাথে সাউন্ড যোগ করা এবং সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহার করে ভিডিওর মূল ভাষার অভিনেতা ও সম্পাদক হওয়া সহ সাউন্ড ম্যাচিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সৌন্দর্য যোগ করা।
ভিডিও সংক্রান্ত সম্পাদনা: সাবটাইটেল, ক্রেডিট, লোগো, টেক্সট ইফেক্ট, গ্রাফিক্স যোগ করা, প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কামেরার সম্পাদনা, ট্রানজিশন ইফেক্ট, এবং অন্যান্য ভিডিও সংক্রান্ত সম্পাদনা কাজের সাথে সংযোজন করা।
পোস্ট-প্রোডাকশন হলো একটি মুখ্যত্বপূর্ণ ভিডিও প্রক্রিয়া, যা একটি ভিডিও নির্মাণের শেষ দফা হয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদক, সাউন্ড ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, এবং অন্যান্য পেশাদারের সম্প্রেষণে কাজ করে যেন একটি ভিডিও প্রজন্মের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ সম্পাদিত এবং প্রস্তুত হয়। পোস্ট-প্রোডাকশন প্রক্রিয়া নিম্নলিখিত কিছু মৌলিক ধারণার উপর নির্ভর করে:
সম্পাদনা: এই প্রক্রিয়ার একটি মৌলিক অংশ হলো সম্পাদনা, যেখানে সম্পাদক সম্পাদিত মাটিরিয়াল সংগ্রহণ করে এবং এটিকে মূল কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলে ধরে। সম্পাদক ক্লিপ কাটবে, সম্পাদনা করবে, সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করবে, সাউন্ড সম্পাদনা করবে, আরো যেগুলি প্রয়োজন তা নির্ধারণ করবে।
সাউন্ড ডিজাইন: সাউন্ড ডিজাইনার ভিডিওর সাথে সাউন্ড যোগ করতে এবং সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহার করে সাউন্ড অভিনুষ্ণতা এবং গুণগত সংগঠন সাধন করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: গ্রাফিক্স ডিজাইনার গ্রাফিক্স, লোগো, টেক্সট ইফেক্ট, সাবটাইটেল, চলচ্চিত্র সম্পাদনা, আরোও যেগুলি ভিডিওর সাথে যোগ করে ভিডিওটির গ্রাফিক্স সংগঠন করে।
সাউন্ড ম্যাচিং: সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সাউন্ড ম্যাচিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সাউন্ড সংগঠন এবং ভিডিও সাথে সাউন্ড মেলানো সাধন করে।
কাস্টম মিউজিক এবং সাউন্ডট্র্যাক: পোস্ট-প্রোডাকশনে, কাস্টম সাউন্ডট্র্যাক বা সংগীত যোগ করা হতে পারে যেটি ভিডিওর মৌলিক সাউন্ডট্র্যাক সাথে মিল খায় এবং এটির সাথে মেলানো সাধন করা হয়।