সাইবার বুলিং হলো ইন্টারনেট বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অন্যকে নির্ভরশীলভাবে ক্ষতি প্রদান করা । ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে মানসিক বা আচরণিক আক্রমণ করা। এটি টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পাদিত ছবি, টেক্সট, ভিডিও বা অন্যান্য মাধ্যমে ঘটতে পারে।এটা করার উদ্দেশ্যে সাধারণভাবে সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন ফোরাম, চ্যাট রুম, ইমেল, অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ঘটতে পারে।
বুলিং রোধে নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা উচিত:
শিক্ষামূলক উপায়: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সাইবার বুলিং নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের বুলিং প্রতিরোধে শিক্ষা প্রদান করতে পারে।
সুরক্ষা সেটিং পরিষ্কার করুন: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা সেটিং এবং সুরক্ষা মাপসমূহ পরিষ্কার করুন।
অবাক মনোবিজ্ঞানিক সামগ্রী সরিয়ে ফেলুন: সাইবার বুলিং প্রাপ্ত হলে, সেই সামগ্রীগুলি না দেখে বা শেয়ার না করে ফেলুন।
আপনার অনুভব শেয়ার করুন: বুলিং আপনি অনুভব করলে সাহায্য চাইতে যত্ন নিন। পরিবার, বন্ধু, শিক্ষক, বা অন্যান্য মানবসম্প্রদায়ের সাথে আপনার অবস্থা ভাগ করা উচিত।
রিপোর্ট করুন: যদি আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বুলিং দেখেন, তাহলে সেই সামগ্রী রিপোর্ট করুন। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট বিভিন্ন রিপোর্টিং মেকানিজম প্রদান করে যাতে এই ধরনের সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া যায়।
অনুসন্ধানে সহায়তা: যদি আপনি কোনও সাইবার বুলিং বা নিরাপত্তা সমস্যায় পড়েন । তাহলে অনুসন্ধানে সহায়তা নিন ।
রোধে উপায়গুলি নিম্নলিখিত:
সুরক্ষার জন্য কঠিন পাসওয়ার্ড: আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী এবং কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন । যাতে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে অন্যান্যদের সাথে প্রবেশ করতে না পারে।
মনিটর করুন: আপনি যদি সাময়িকভাবে বুলিং অথবা অন্যান্য অপক্ষয়কর আচরণ দেখেন। তবে তার সন্ধান নিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন আদর্শ অনুসরণ করুন: আপনার অনলাইন আদর্শ সম্পর্কে ভাল অনুমান রাখুন। সামাজিক মাধ্যমে ন্যাগেটিভিটি বা বাইরে চলা ভীতিপ্রবণ মন্তব্য থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন গোপনীয়তা প্রযুক্তি: সাইবার বুলিং থেকে বাচার জন্য, অনলাইন গোপনীয়তা প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সংজ্ঞান ও গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া সেটিং পর্যায়ক্রমে মীমাংসা করা: অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম একটি “মুক্তিমীমাংসা” পর্যায়ক্রম অনুমোদন দেয়, যাতে আপনি নির্দিষ্ট অনুসন্ধান পদক্ষেপের মধ্যে বুলিংয়ের উপর মুক্তিমীমাংসা অপলক্ষ্য করতে পারেন।
সমস্যা সমাধানে সম্প্রদায়ের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, সরকারের এবং প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে একক পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
অবশ্যই! সাইবার বুলিং রোধে আরও কিছু উপায় নিম্নে দেয়া হল:
সাইবার শিক্ষা প্রদান করা: সাইবার শিক্ষা প্রোগ্রাম এবং সাইবার নিরাপত্তা কোর্সের মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং সাম্প্রতিক বুলিং প্রতিরোধের জন্য জ্ঞান বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
প্রসার করা সাইবার নৈতিক আদর্শ: অনলাইনে ভাল নৈতিক আদর্শ এবং সহযোগিতা প্রসার করার মাধ্যমে একটি পজিটিভ এবং সাহায্যবার্তা পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে।
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করা: আপনার শিশুর অনলাইন গোত্রবত্সরণ এবং গোপনীয়তা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। Click here
অনলাইন সম্প্রদায়ে যোগদান করা: অনলাইন সামাজিক সম্প্রদায়ে সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসেবে যোগদান করা এবং নিজেকে সাইবার সুরক্ষার জন্য সক্রিয় অংশগ্রহণ করা সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সতর্কতা: যেমন কোনও ছবি, ভিডিও বা টেক্সট পোস্ট করার আগে ভাল সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের সাথে সাম্প্রদায়িক মন্তব্যে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন বুলিং রিপোর্ট মেকানিজম: যদি কেউ সাইবার বুলিং বা অবনয়নিরাপত্তা মূল্যায়ন প্ল্যাটফর্মে বা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে পোস্ট করে, তবে তা সরাসরি রিপোর্ট করতে পারেন।
মনোনিবেশ ও সহানুভূতি তৈরি করা: অন্যকে আপনার মনোনিবেশ ও সহানুভূতি প্রদান করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সাথে সাথে বুলিং প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
বুলিং রোধে যত্নশীলতা এবং প্রাধিকৃত উপায় ব্যবহার করার দরকার ।