SEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সবাই কে শুভ সকাল। আশা করছি ভাল আছেন। কয়েকদিন ধরেই আসলে ভাবছি কি নিয়ে লেখা যায়,একটু সিরিয়াস টাইপের জ্ঞান মূলক আলাপ আলোচনা চালানো যায়। তখনি আমার মনে হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কথা। যদি ও অনেকে ভাবেন কাজ টি সহজ। কিন্তু আমার কাছে কেন যেন কাজটি একটু জটিল মনে হয়।কারন এখানে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। তবে আপনি যদি খুবি ভাল প্ল্যানার হন সফলতা আপনার জন্যেই।
আগে জেনে নিই কেন এস. ই .ও দরকার। Click here আজকের দিনে একটি ওয়েবসাইট ছাড়া কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাবাও সম্ভব নয়, আপনার প্রচার ও প্রসারের জন্যেই আপনি চাইবেন যেন আপনার প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট টি সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং এর প্রথম সারিতে থাকে যার জন্য এস. ই .ও অবশ্যম্ভাবী। সহজ কথায় একজন এস. ই .ও প্রফেশনালের কাজ হচ্ছে আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়ানো ও আপনার ওয়েসাইটকে টপ র্যাঙ্কিং এ নিয়ে আসা।
কিছু সাধারন পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি নিজে কে প্রমান করতে পারেন যে আপনি একজন দক্ষ এস. ই .ও প্রফেশনাল। আসুন জেনে নেই সে অনন্য সাধারন কিছু টিপস যা আপনাকে এগিয়ে দিবে সফলতার পথে কয়েক ধাপ।
১। নির্ধারণ করুন আপনার ওয়েবসাইট কি অবস্থায় আছেঃ
সবার আগে নির্ধারণ করুন আপনার প্রজেক্টেড ওয়েবসাইট টি কি অবস্থায় আছে। অর্থাৎ SEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন এ ওয়েবসাইটটির বর্তমান র্যাঙ্কিং। এর জন্যে আপনি নিতে পারেন বিভিন্ন এস. ই .ও টুল এর সহায়তা। তবে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি যে টুল এর সহায়তা নিচ্ছেন তা কি পেইড নাকি আনপেইড টুল। উল্লেখযোগ্য টুলের মধ্যে রয়েছে গুগল টুলবার,আলেক্সা,এস. ই .ও কোয়্যাক ইত্যাদি।
২। কী-ওয়ারড, কী-ওয়ারড শুধুই কী-ওয়ারডঃ
প্রতিটি জায়গায় কী-ওয়ারডের সর্বাত্মক ব্যবহার ঘটাতে হবে । কী-ওয়ারড হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর তার পরিপূর্ণ ব্যবহার ঘটাতে হবে ওয়েবসাইটের টাইটেল,কণ্টেণ্ট, ইউ.আর.এল, আর ইমেজ নেমে। টাইটেল ট্যাগ, পেজ হেডার হচ্ছে কী-ওয়ারড ব্যবহার এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে কী-ওয়ারড ব্যবহারে আপনাকে কৌশলী হতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত কী-ওয়ারড এর ব্যবহার আপনাকে স্প্যামার হিসেবে গুগল এর কাছে তুলে ধরতে পারে যার কারনে আপনার ওয়েবসাইট আক্সেস গুগল স্পাইডার প্রত্যাখ্যান করবে।
৩। ব্যাক লিঙ্ক এর কার্যকরী ব্যবহারঃ
SEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, তে একটি সাধারন কৌশল হচ্ছে ওয়েবসাইটে ইন্টারনাল লিঙ্ককে ইন্টিগ্রেট করা যা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে,এমন একটি স্ট্যান্ডার্ড লিঙ্ক তৈরি করতে হবে যেন তা আপনার আর্কাইভে সামঞ্জস্য পূর্ণ সাইটগুলোকে সংজুক্ত করে। লিঙ্কের ক্ষেত্রে ‘অ্যাংকর টেক্সট’ এমন হতে হবেজেন তা প্রতিটি ল্যণ্ডিং পেজ কে বিশেষায়িত করে। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে যেন মাত্রাতিরিক্ত লিঙ্ক ব্যবহারের মাধ্যমে ভিজিটরকে বিরক্ত না করা হয়।
৪। সাইট ম্যাপ নির্ধারণঃ
এমন একটি সাইট ম্যাপ তৈরি করতে হবে যেন সেখানে সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কিং পেজকে লিস্তেড ও লিঙ্ক আপ করা থাকে যেন স্পাইডার সহজেই ওয়াবেসাইটে ক্রল করতে পারে, যত কম ক্লিকে আপনার ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয় পেজটি ওপেন হবে তত দ্রুত তা র্যাঙ্কিং এ আসবে।
৫। সার্চ- ফ্রেণ্ডলি ইউ.আর.এল ব্যবহারঃ
নিচের পথগুলো অনুসরন করলেই সার্চ- ফ্রেণ্ডলি ইউ.আর.এল তৈরি করা সম্ভব, তাহলে আমরা দেখে নি কিভাবেঃ
• ইউ.আর.এল ছোট করা।
• টারগেটেড কী-ওয়ারড ব্যবহার করা
• বর্ণনামূলক কী-ওয়ারড ব্যবহার করা
• স্পেশাল ক্যারেকটার ব্যবহার না করা
• হাইফেনের সাহায্যে কী-ওয়ারড আলদা করা
• কী-ওয়ারড ছোট হাতের হওয়া
• স্টপ ওয়ারড ব্যবহার না করা
• ইন্টারনাল ইউ.আর.এল এ ট্র্যাকিং পেরিমিটার ব্যবহার না করা।
৬। ‘ফ্ল্যাশ’ এরিয়ে যাওয়াঃ
আমরা অনেকেই ‘ফ্ল্যাশ” ব্যবহার করে থাকি, যদিও ফ্ল্যাশ অনেক সুন্দর কিন্তু এস. ই .ও এর ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার খুব একটা উপযোগী নয়। ফ্রেমস,অ্যাজাক্স, ফ্ল্যাশ প্রভৃতির একটি কমন সমস্যা রয়েছে। আর তা হোল আপনি সিঙ্গেল কোন পেজ কে লিঙ্ক আপ করতে পারবেন না। তাই ফ্ল্যাসের ব্যবহার পরিহার করাই ভালো। ভাল এস ই ও সার্ভিস এর জন্য আপনি অ্যাজাক্স ও ফ্ল্যাস এর যৌথ ব্যবহার ঘটাতে পারেন। তবে সিঙ্গেল ইমেজ এর ব্যবহার ঘটিয়ে ও আপনি ওয়েবসাইটকে করতে পারেন বিশেষায়িত। Click here
৭। ইমেজ এর বর্ণনাঃ
সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডার শুধুমাত্র টেক্সট পড়তে পারে। তাই আপনার ওয়েবসাইট ইমেজ কে এমন ভাবে বিশেষায়িত করুন যেন আপনার বর্ণনা ছবির সাথে প্রাসঙ্গিক হয়। আপনি এক্ষেত্রে ছবি কে অপটিমাইজ করতে ক্যাপশন ব্যবহার করতে পারেন।
আর ও ভাল হয় যদি আপনি উল্লেখিত পদ্ধতি টি অনুসরন করেনঃ
ইমেজের নাম দিয়ে শুরু করুনঃ যোগ করুন ‘ALT’ ট্যাগ যা আপনার প্রত্যেক ছবির জন্য ভাল মানের কী-ওয়ারড ব্যবহারের পরিপূর্ণ সুযোগ দিবে। আর আপনার ওয়েবসাইট এর হবে পারফেক্ট অপটিমাইজেসন।
৮। কন্টেন্টঃ
আপনার কন্টেন্ট হতে হবে সবসময়ই ইউনিক,সাধারন জিনিস কেও অসাধারন করা সম্ভব যদি আপনার উপস্থাপনের মাত্রা হয় কিছুটা আলাদা। নতুনত্বই বাড়াতে পারে আপনার ট্রাফিক। আপনার কন্টেন্ট কে আকর্ষণীয় করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে কোন ব্লগ কে ইন্তিগ্রেট করা। আরও ভাল হয় যদি আপনার ব্লগে টপ লেভেল সি ই ও রা লেখালেখি করেন হতে পারে তারা প্রাতিষ্ঠানিক অথবা বাহিরের। এটা আপনার ওয়েবসাইটকে প্রফেসনালি আপগ্রেড করবে। দিবে রিয়াল লাইফ প্র্যাকটিকাল কন্টেন্ট।
৯। সোশ্যাল মিডিয়ার সুচারু ব্যবহারঃ
সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রেজ সম্পর্কে তো আমরা ভালভাবেই জানি,আমরা আমাদের ওয়েবসাইট কে র্যাঙ্কিং এ আনতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে পারি, লিঙ্কড-ইন,ফেসবুক,টুইটার প্রভৃতি তে গঠনমূলক পোস্ট শেয়ার করুন,ইন্টারনেট এর জগতে রয়েছে হাজারো ফোরাম ও কমিনিটি প্রোফাইল সেখানে সদস্য হন,দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট এর প্রচার ও প্রসার আপনার হাতেই। যদিও সার্চ ইঞ্জিন গুলোয় স্পস্ট ভাষায় বলা নেই তবে প্র্যাকটিকালি এস ই ও এক্সপার্টদের মতে সোশ্যাল সাইটস শেয়ারিং সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং এ গুরুত্তপূর্ণ অবদান রেখে থাকে।
১০। অন্য লিঙ্কগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনঃ
আমরা আজ যে কমিউনিটি তে আছি তার সাফল্য নির্ভর করছে শেয়ারিং এ। কারও সাথে শেয়ার করার মানে এই না যে আপনি পিছিয়ে পরছেন, এর মানে হচ্ছে আপনি কাজের নতুন মাত্রা যোগ করছেন,বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ওয়েবসাইট এ বিজনেস প্রোফাইল,বিজনেস লিঙ্ক শেয়ার করুন,অবস্যই উল্লেখ করতে ভুলবেন না পারস্পরিক সহায়তার আশ্বাস। তবে সতর্ক থাকুন যেন আপনার ওয়েব সাইট এর লিঙ্কটি কোন বিতর্কমুলক ওয়েবসাইট শেয়ার না হয় তাহলে নিমেষে আপনার র্যাঙ্কিং সার্চ ইঞ্জিনের নিচে পরে যাবে ।
আসলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে স্পেসিফিক কিছু বলা সম্ভব নয় আপনার স্মার্টওয়ে থিঙ্কিং ও প্রফেশনালিসম নির্ধারণ করবে আমার সাফল্য। আজকের মত এই পর্যন্তই,পরবর্তীতে আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন। Click here